এ যেন একখণ্ড ‘সুইজারল্যান্ড’। গাছপালা, অতিথি পাখি, কৃত্রিম লেক,সবুজ ঘাসের বিছানা,আর তার সামনেই বসে দেখা যাচ্ছে অপার সৌন্দর্যের নোনাজলের বঙ্গোপসাগর। এমন প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতে হলে আপনাকে ছুটে যেতে হবে চট্টগ্রামের হালিশহর সমুদ্রসৈকতে।
অনিন্দ্য সুন্দর স্থানটির নাম হালিশহর সমুদ্রসৈকত নামে সর্বাধিক পরিচিত হলেও এটির বর্তমান নাম গানার্স ট্রেনিং এরিয়া। ৪-৫ বছর আগেও স্থানটি স্থানীয়দের কাছেই পরিচিতি ছিল। তবে তখনো এটি পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে ওঠেনি। কাদা, আবর্জনা, সরু সড়ক পেরিয়ে পায়ে হেঁটে প্রবেশ করতে হতো এখানে।
তবে সেনাবাহিনী উদ্যোগ ও তত্বাবধানে স্থানটি গড়ে উঠেছে মনোমুগ্ধকর পর্যটন স্পট হিসেবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে এখানকার সৌন্দর্য এখন ছড়িয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম ছাড়িয়ে সারা বাংলাদেশে।
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে গড়ে ওঠা স্থানটি এখন সৌন্দর্যপিপাসুদের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এই সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্যের স্বাদ নিতে ছুটে আসছে।
চট্টগ্রাম মহানগরের যে কোনো জায়গা থেকে সিএনজি করে সরাসরি কিংবা হালিশহর নয়াবাজার এসে ৪০-৫০ টাকা ভাড়ায় রিকশাযোগে ফারারিং রেঞ্জ কিংবা গানার্সট্রেনিং এরিয়া বললেই নামিয়ে দেবে। ২০ টাকা প্রবেশ মূল্য দিয়ে ঢুকতে হবে স্থানটিতে। তবে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যেই এই স্থান ত্যাগ করার নির্দেশনা মানতে হয়।
চট্টগ্রাম মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে এই সমুদ্রসৈকত এখন সবার কাছেই প্রিয়। প্রবেশ গেট দিয়ে ঢুকতেই হাতের ডান পাশে ঝাউগাছ, পিচঢালা সড়কের দু’পাশে কৃত্রিম লেক আর হিমেল হাওয়া আপনাকে অন্যরকম প্রশান্তি এনে দিবে। এখানকার কৃত্রিম লেকে আছে কায়াকিংয়ের সুবিধাও। লেক ঘিরে আছে সারি সারি নারিকেল গাছ যা এই লেকের সৌন্দর্যকে দ্বিগুণ করে তুলেছে।